,

চাকরি পাচ্ছেন নিহত নাবিক হাদিসুরের ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে গোলার আঘাতে নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের ভাই তরিকুল ইসলামকে চাকরি দিচ্ছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। তিনি আগামী ১ জুন করপোরেশনের বিএসসিতে যোগদান করবেন।

শুক্রবার (২৭ মে) সকালে নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমার মেঝ ছেলেকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন থেকে চাকরি দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে বিমা কোম্পানি থেকে হাদিসুরের পরিবারের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বিএসসির মালিকানাধীন ওই জাহাজে কর্মরত অন্যরা সাত মাসের বেতন পাবেন।

এ ছাড়া নিহত হাদিসুর রহমানের পরিবার পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় পাঁচ কোটি টাকা) ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে, সেই সঙ্গে তার ভাইকে বিএসসিতে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ১ জুন তিনি বিএসসিতে যোগ দেবেন। হাদিসুরের মেজ ভাই তরিকুল ইসলাম পটুয়াখালী সরকারি কলেজের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী।

এ বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর অলভিয়া বন্দরে আটকে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’। সেখানে নোঙর করা অবস্থায় গত ২ মার্চ জাহাজটি রকেট হামলার শিকার হয়।

ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান। মৃত্যুর ১২ দিন পর ১৪ মার্চ দুপুর সোয়া ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আনা হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে হাদিসুরের লাশ তার গ্রামের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদে পৌঁছায়। মরদেহ আসার পর স্বজন, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া।

এই বিভাগের আরও খবর